2024-12-17 | মালদা,পশ্চিমবঙ্গ,মিশন সংবাদ, | Kaliachak Sangbad | Views : 1101
এম নাজমুস সাহাদাত, কালিয়াচক: শিক্ষা এমন এক অস্ত্র যার দ্বারা পৃথিবীকে বদলে ফেলা যায়। শিক্ষার মাধ্যমেই সমাজ ও দেশের কল্যাণ করা যায়। তবে দিনের পর দিন শুধুমাত্র আধুনিকতার শিক্ষা অর্জনের দোহাই দিয়ে ঘুষ-দূর্নীতি সহ কেলেঙ্কারিতে বিনষ্ট হচ্ছে মানবিকতার এবং দেশের কল্যাণে কাজ করার মন মানসিকতা। আর এইসব থেকে দূর করতে পারে একমাত্র ধর্মীয় শিক্ষা। তাই কালিয়াচকের মাটিতে শুধুমাত্র মিশনের ভিড় নয়, এখানে ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি ধর্মের শিক্ষা ও পিছিয়ে পড়া সমাজের এবং দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দূরান্ত চিন্তাভাবনার শিক্ষা দিয়ে চলেছে। আগামীতে আরও শিক্ষার সৎ পথ প্রদর্শনের মাধ্যমে কালিয়াচকের সাথে গোটা দেশের সুনাম অর্জন করতে প্রস্তুত। দ্বিনি ও দুনিয়াবী একটি আদর্শ আধুনিক, ইসলামিক ও ক্বুরআন হিফয এর নির্ভরযোগ্য এবং সম্পূর্ণ ইসলামিক ভাবাদর্শে শিশু শিক্ষার সেরা প্রতিষ্ঠান জান্নাতুল আযহার ইসলামিক মিশনের শুভ উদ্বোধনের মাধ্যমে পথচলা শুরু করল। এই জান্নাতুল আযহার মিশন ইসলামিক ও জেনারেল শিক্ষায় এক অনন্য নিদর্শন। এটি কালিয়াচকের সাহাবাজপুর ছারকাটোলার একেবারে সড়কের ধারেই অবস্থিত এবং এখানে নার্সারি থেকে চতুর্থ শ্রেণী ও হিফয বিভাগ পর্যন্ত পড়াশোনা করানো হয়। এদিনের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, গোলাপগঞ্জ জি.বি.এস হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক তথা শিক্ষারত্ন সাকিলুর রাহমান, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আমিনুল ইসলাম, কালিয়াচক হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাঈম আসগার, শিক্ষাপ্রেমী জাকির হোসেন বিশ্বাস সহ স্থানীয় বহু বিশিষ্টজনেরা। প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক আবু তাহের জানান, শিক্ষার্থীরা আজকাল যে শিক্ষার পিছনে ছুটে চলেছে তা হল পুঁথিগত বিদ্যা। কিন্তু পুঁথিগত বিদ্যার সার্টিফিকেট আদৌ কি প্রকৃত মানুষ গড়ে তুলছে? অনেক অভিভাবকদের ধারণা তাদের সন্তানরা শুধুমাত্র নামকরা ফলাফল পেলেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে। নীতিবিবর্জিত বিদ্যা অর্জন প্রকৃত শিক্ষা নয়। আরও লক্ষ করা যায়, যেসব পাঠ্যপুস্তক থেকে ছাত্রছাত্রীরা যে জ্ঞান অর্জন করছে তা শুধুমাত্র সার্টিফিকেট নিয়ে ভালো একটা চাকুরি ও পেশায় নিযুক্ত হওয়ার আশায়। কিন্তু আদর্শ শিক্ষার উদ্দেশ্য তা নয়; উপলব্ধি করা জ্ঞান বিদ্যা নিজের মধ্যে প্রয়োগ করার নামই হচ্ছে প্রকৃত অর্থে শিক্ষা। নিজেকে জানা ও নিজের মধ্যে আদর্শ মূল্যবোধ তৈরি করা এবং তা সমাজে প্রসারিত করা। তাই এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিশুদের ভিত্তি স্থাপন মজবুত করছি, যাতে সহজে ভেঙে না যায়। এছাড়া নৈতিক শিক্ষা, সামাজিক শিক্ষা, পারিবারিক শিক্ষা, কর্মমুখী শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়।