2024-11-30 | পশ্চিমবঙ্গ | Kaliachak Sangbad | Views : 121
এবার বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েত অফিসে গেরুয়া রং করা কে ঘিরে জোর বিতর্ক মালদা জেলা জুড়ে। যখন রাজ্য-জুড়ে রাজ্যের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে হচ্ছে নীল সাদা রং। তখন হঠাৎ করেই বিজেপি পরিচালিত এক পঞ্চায়েতে এক লহমায় রঙের পরিবর্তন। নীল সাদা থেকে গেরুয়া রঙে রেঙে গেল পঞ্চায়েত ভবন। তারপরেই তুঙ্গে বিতর্কের ঝড়। তৃণমূলের অভিযোগ পঞ্চায়েত দপ্তরকে পার্টি অফিস করেছে বিজেপি। সাথে তাদের দাবি যদি গেরুয়া রং করা হয় তবে রাজ্য থেকে সমস্ত টাকা নেওয়া বন্ধ করা হোক। যদিও এই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে পাল্টা দাবি বিজেপির। বিজেপির মতে পঞ্চায়েত স্ব শাসিত সংস্থা তাই সেখানে কেউ রং নির্ধারণ করতে পারবে না। পুরাতন মালদার ভাবুক গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ঘটনায় তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। প্রসঙ্গত, সাম্প্রতিক কয়েক বছরে ভাবুক অঞ্চল বিজেপির শক্ত ঘাঁটি বলেই পরিচিত। বিগত পঞ্চায়েত ভোটে যখন জেলা জুড়ে দেখা গেছে সবুজ ঝড়। তখনো ভাবুক নিজেদের দখলে রেখেছে গেরুয়া শিবির। একক ভাবে এই পঞ্চায়েতে ক্ষমতায় রয়েছে বিজেপি। তৃণমূলের অভিযোগ পঞ্চায়েত ভবনের রং ছিল নীল সাদা। বিজেপির প্রধান সেই রং পরিবর্তন করে ভবনের রং করেছে গেরুয়া। ক্ষমতার অপব্যবহার করে পঞ্চায়েত কে পার্টি অফিস প্রমাণ করতে চাইছে বিজেপি। ইতিমধ্যেই পঞ্চায়েত আধিকারিকদের সেই বিষয় সম্বন্ধে অবগত করেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। রং পরিবর্তন না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি। যদিও স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের দাবি পঞ্চায়েত স্বশাসিত সংস্থা এখানে রঙের কোন ব্যাপার নেই। তৃণমূল সরকারি ক্ষেত্রে নীল সাদা রং নিয়ে রাজনীতি করে। ভাবুক অঞ্চল বিজেপির মানুষের জন্য কাজ করে। তাই এই পঞ্চায়েতে প্রত্যেকটি বুথে বিজেপির লিড ছিল। তৃণমূল অহেতুক রাজনীতি করছে। রংয়ের রাজনীতি নিয়ে পুরাতন মালদায় শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তবে পঞ্চায়েত প্রধান বা আধিকারিকদের এই নিয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।