2024-11-07 | মালদা,পশ্চিমবঙ্গ | Kaliachak Sangbad | Views : 342
আর কত গরীব হলে মিলবে ঘর? প্রশ্ন ধুমসাডাঙি গ্রামবাসীদের, ক্ষোভ হরিশ্চন্দ্রপুর : ২০১৭ সালের বন্যায় ভেঙে গিয়েছে ঘর। জরাজীর্ণ কাচা ঘরে দিন গুজরান করছে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের ধুমসা ডাঙ্গি গ্রামের বাসিন্দারা। 'আবাস প্লাস' সার্ভের তালিকায় গ্রামের কারও নাম না থাকায় হতাশগ্রস্ত হয়ে পড়েছে বাসিন্দারা। আর কত গরীব হলে মিলবে ঘর প্রশ্ন তুলেছেন বাসিন্দারা। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ভালুকা গামী রাজ্য সড়কের ধারে রয়েছে গ্রাম টি। প্রায় ২০০ টি পরিবার বসবাস করে। কেউ দিনমজুর করে,কেউ আবার ভিন রাজ্যে কাজ করে সংসার চালায়। অর্থাভাবে পাকা ঘর করা তো দূরের কথা তিন বেলা খাবার জোগাড় করতে পারেন না। ভূমিহীন পরিবারগুলো কেউ পলিথিন টাঙিয়ে,কেউ টালি ও টিনের ছাউনি দিয়ে জরাজীর্ণ কাচা ঘরে কোনরকমে দিন গুজরান করেন। সরকারি ঘরের আশায় চেয়ে রয়েছে পরিবারগুলো। স্থানীয় বাসিন্দা পুনায় মিশর,বকনি মিশর ও বিনয় মিশররা বলেন, যাদের পাকা বাড়ি রয়েছে তাদের তালিকায় নাম রয়েছে। আমরা পলিথিন টাঙিয়ে কাচা ঘরে বসবাস করছি। সার্ভের তালিকায় নাম নেই। আমাদের কেউ খোঁজ নিতেও আসে না। কংগ্রেসের স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য বিজয় মিশর বলেন,পরিবারগুলোর নুন আনতে পান্তা ফুরায় অবস্থা। দিন মজুর করে চলে তাদের জীবন। পরিবারগুলো জরাজীর্ণ ঘরে খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছে। ২০১৮ সালের আবাস যোজনার তালিকায় গ্রামের কারও নাম নেই। ২১ অক্টোবর থেকে শুরু হয়েছে চূড়ান্ত সমীক্ষার কাজ। নাম না থাকায় গ্রামে কেউ সার্ভে করতে আসেনি। ব্লক প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি । এমনকি দিদিকে বল তে ফোন করে অভিযোগ করেছি । কিছুই উত্তর আসেনি । হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকের বিডিও সৌমেন মন্ডল বলেন, ২০১৮ সালে হরিশ্চন্দ্রপুর ১ ব্লকে সার্ভের তালিকায় প্রায় ১৮,০০০ হাজার নাম ছিল। ২০২২ সালে সার্ভেতে ৯,২২২ টি নাম টিকে ছিল। রাজ্য সরকারের নির্দেশে ২১ অক্টোবর থেকে আবার সার্ভে শুরু হয়েছে। ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে। ধুমসা ডাঙ্গি গ্রামের বাসিন্দাদের সার্ভের তালিকায় কেন নেই খোঁজ নিচ্ছি।