Monday 7 July



×

মিশন সংবাদ

কালিয়াচকের টার্গেট পয়েন্ট স্কুলের পক্ষ থেকে নিট প্রবেশিকা পরিক্ষার কৃতি ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান

2025-06-25

নাজমুস সাহাদাত, কালিয়াচক: বুধবার কালিয়াচকের টার্গেট পয়েন্ট স্কুলের পক্ষ থেকে নিট প্রবেশিকা পরিক্ষার কৃতি ছাত্রছাত্রীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিনের এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে টার্গেট পয়েন্ট স্কুল থেকে এবছরের নিটে ১১ জন ছাত্রছাত্রী উত্তীর্ণ লাভ করে এবং ১ জন আইআইটিতে। এদিনের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, টার্গেট পয়েন্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক উজির হোসেন, স্কুলের অন্যতম কর্ণধর কুরবান সেখ, হায়দার আলী, জোহর আহমেদ, রাফিকুল ইসলাম প্রমুখ। এছাড়াও ছিলেন কৃতি ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক অভিভাবিকা গন। এবছরে নিটে ওয়াহিদুর রহমান, ফারিয়া হোসেন, রিদা কালিমী, নাইমা খাতুন, ফাহিম আব্রার, জিসান আলী, পুনাম মণ্ডল, আব্দুল আজিজ, সায়েদ হোসেন, সুহানা আক্তার, সাকিব মোমিন ও গোলাম মাসুদ বিশ্বাস (আইআইটি) তারা প্রত্যেকেই টার্গেট পয়েন্ট স্কুলে পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে। টার্গেট পয়েন্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক উজির হোসেন বলেন, এবছরে নিটে উত্তীর্ণ লাভ করেছে ১১ জন ছাত্রছাত্রী এবং ১ জন আইআইটিতে সুযোগ পেয়েছে। প্রতিবছরই আমাদের টার্গেট পয়েন্টে স্কুল থেকে পেয়ে যাচ্ছে। কৃতি ছাত্রছাত্রীদের উদ্দেশ্যে আমি বলব যারা চিকিৎসক হবে তারা যেন ভালোভাবে হয় এবং চিকিৎসক ভালোভাবে করে। ভালো ডাক্তার হয়ে একজম ভালো মানুষ হতে হবে। এবং রুগীদেরকে ভালো ট্রিটমেন্ট দিতে হবে। তার কারণ হচ্ছে একটা ডাক্তারের উপরে রুগীর জীবন নির্ভর করে। তাই ডাক্তার যদি ভুল ট্রিটমেন্ট দেয় বা যদি ভুল ঔষধ দিয়ে দেওয়া হয় তাহলে তার জীবনটা শেষ হয়ে যাবে। এবং আরও বলব তারা যেন রুগীদের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করে। তার সাথে সাথে যে ইঞ্জিনিয়ার হবে সে যেন ভালো ও সৎ ইচ্ছা নিয়ে কনস্ট্রাকশন করে। আরও যেন সে গবেষণামূলক কাজে এগিয়ে যায়। স্কুলের অন্যতম কর্ণধার কুরবান সেখ জানান, এইরকম একটা অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত করতে পেরে টার্গেট পয়েন্ট স্কুলের কর্তৃপক্ষদের পক্ষ থেকে আমি খুবই গর্বিত এবং আনন্দিত। টার্গেট পয়েন্ট স্কুল যে আশা ও স্বপ্ন নিয়ে স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছে তা আল্লাহ পাকের রহমতে ধীরে ধীরে সেটা আমরা পেতে চলেছি। আগামীতে আরও টার্গেট পয়েন্ট স্কুল অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাবে এই আশা আমি রাখছি। এবং আমাদের এই ছাত্রছাত্রীরা আজকে যে সফলতা অর্জন করেছে তারা আরো বড় হোক। দেশের ও টার্গেট পয়েন্ট স্কুলের নাম উজ্জ্বল করুক এবং নিজেদের বাবা-মায়ের নাম কে উজ্জ্বল করুক এই আশা আমি তাদের কাছে করবো। এবং তারা যাতে একজন সৎ নিষ্ঠাবান নাগরিক হয়ে উঠুক।

টার্গেট পয়েন্ট (আর) স্কুলে এবছরের বিজ্ঞান বিভাগের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি প্রবেশিকা পরীক্ষা ।

2025-02-27

নাজমুস সাহাদাত, কালিয়াচক: মালদা জেলার স্বনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কালিয়াচকের টার্গেট পয়েন্ট (আর) স্কুল। এবছরের বিজ্ঞান বিভাগের একাদশ শ্রেণীর ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হয়। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে একাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির জন্য প্রায় নয়শত ছাত্রছাত্রীরা পরীক্ষায় অংশ নেয়। একই দিনে কালিয়াচক টার্গেট পয়েন্ট এর নিজস্ব শাখার পাশাপাশি কোচবিহার ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার ডায়মন্ড হারবারেও ভর্তি প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হয়। আজকে সর্বমোট কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রী টার্গেট পয়েন্ট স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগে ভর্তির প্রবেশিকা পরীক্ষা সুশৃংখলভাবে সম্পন্ন হয়। সম্প্রতি কালিয়াচক টার্গেট পয়েন্ট স্কুলের বিগত দিনের মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক সহ ডাক্তারি নিট পরীক্ষায় চমকপ্রদ রেজাল্টের ফলে মালদা জেলার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হয়ে দাঁড়িয়েছে। শিক্ষার্থীর অভিভাবকরা জানান, এখন নজরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অসংখ্য ভিড়। তবে ছেলেমেয়েদের কোয়ালিটি সম্পন্ন ও তাদের সুদূর ভবিষ্যৎ এবং একজন প্রকৃত মানুষ রূপে গড়ে তুলতে যে শিক্ষা দরকার সেটা আমরা আমাদের এলাকার টার্গেট পয়েন্ট স্কুলে দেখতে পাচ্ছি। একটা স্কুলের সুনাম তখনই হয় যখন সেই স্কুলের শিক্ষার মান, শিক্ষক শিক্ষিকা ও ছাত্র ছাত্রীদের ব্যবহার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কঠিন পরিকাঠামো এবং ছাত্র-ছাত্রীদের সাফল্যের উচ্চ শিখরে পৌঁছাতে সকলের কঠিন পরিশ্রম খুবই প্রয়োজন। আমরা মনে করি টার্গেট পয়েন্ট স্কুল আগামীর পথ আরো উজ্জ্বলময় হবে। টার্গেট পয়েন্ট স্কুলের প্রধান শিক্ষক উজির হোসেন জানান, আমাদের প্রতিবছরই ভর্তি প্রবেশিকা পরীক্ষা খুব সুষ্ঠুভাবে এবং কঠিন নিয়ম নীতির মাধ্যমে নেওয়া হয়। এছাড়াও অভিভাবকদের উদ্দেশ্যে বলব, আমাদের বরাবর কঠোর নিয়ম শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে নিয়মিত পাঠ দান করে থাকে ও নীতি আদর্শের উপর চরিত্র গঠন লেখাপড়া, রেজাল্ট ভালো করা ইত্যাদি দিয়েই আমরা সুনাম অর্জন করছি। অতএব আপনি আপনার ছেলে মেয়েদেরকে আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দিয়ে নিরাপত্তার দিক দিয়ে এবং তাদের রেজাল্টের উপর নিশ্চিন্তে থাকুন। আজকের পরীক্ষার ফলাফল আগামী ৭ই মার্চ প্রকাশিত হবে। মোবাইল নম্বরে এসএমএস এবং স্কুলের ওয়েবসাইট ও স্কুলের উল্লেখিত যোগাযোগের মাধ্যমে জানতে পারবেন। এছাড়াও যারা ভর্তির সুযোগ পাবে অর্থাৎ ছেলে ও মেয়ে উভয়ের জন্য পৃথক ক্লাসরুম ও হোস্টেলের ব্যবস্থা রয়েছে।

মেধা প্রকাশ মিশনের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক নবীনবরণ অনুষ্ঠান

2025-02-08

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাহাবাজপুর: পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করে। খেলাধুলা ছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের সম্পূর্ণ বিকাশ অসম্ভব বলে মনে করা হয়।ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা করাও খুবই জরুরী। এলাকার সুপরিচিত একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মেধা প্রকাশ মিশনের উদ্যোগে দুদিনব্যাপী ছাত্রছাত্রীদের বার্ষিক ক্রীড়া ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক এবং নবীনবরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের প্রথমদিনে ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক খেলাধুলা এবং দ্বিতীয়দিনে সাংস্কৃতিক নবীনবরণ ও পুরস্কার বিতরণীর আয়োজন করা হয়। এদিনের মেধা প্রকাশ মিশনের বার্ষিকী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক ও নবীনবরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, ড. মোশাররফ হোসেন, ড. সিদ্ধার্থ শংকর ঘোষ, প্রধান শিক্ষক সাকিলুর রহমান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক অরুণ সরকার, গোলাপগঞ্জ থানার ওসি আনসারুল হক প্রমুখ। এছাড়াও মেধা প্রকাশ মিশনের পক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষক মুক্তার হোসেন, মিশনের সেক্রেটারি নাসিমুল গনি ছাড়াও স্কুলের সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ এবং স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। খেলাধুলার পাশাপাশি একগুচ্ছ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তথা কবিতা আবৃত্তি, গানের তালে নৃত্য, দেশাত্মবোধক সংগীত, পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত ও ছাত্র-ছাত্রীদের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ করা হয়। এছাড়াও খেলাধুলাতেও বিভিন্ন আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে মেধা প্রকাশ মিশনের ছাত্রছাত্রীরা।

টার্গেট পয়েন্ট (আর )স্কুলের বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

2025-01-25

নিজস্ব প্রতিবেদক, সাহাবাজপুর: পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা ছাত্র-ছাত্রীদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে সাহায্য করে। খেলাধুলা ছাড়া ছাত্র-ছাত্রীদের সম্পূর্ণ বিকাশ অসম্ভব বলে মনে করা হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলা করাও খুবই জরুরী। মালদার সুপরিচিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান টার্গেট পয়েন্ট আর স্কুলের উদ্যোগে দুদিনব্যাপী ছাত্রছাত্রীদের বার্ষিক ক্রীড়া ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হয়ে গেল। প্রথমদিনে ছাত্রছাত্রীদের বিভিন্ন প্রতিযোগিতা মূলক খেলাধুলা ও দ্বিতীয়দিনে সাংস্কৃতিক ও পুরস্কার বিতরণীর আয়োজন করা হয়। এদিনের টার্গেট পয়েন্ট আর স্কুলের তম বার্ষিকী ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রাষ্ট্রীয় মন্ত্রী তথা হরিশ্চন্দ্রপুর বিধানসভার বিধায়ক তাজমুল হোসেন, কলকাতা উচ্চ আদালতের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি তথা সুজাপুর বিধানসভার বিধায়ক আব্দুল গনি। এছাড়াও টার্গেট পয়েন্ট স্কুলের পক্ষ থেকে প্রধান শিক্ষক উজির হোসেন, স্কুলের অন্যতম কর্ণধার কুরবান শেখ, মুকুল হক ছাড়াও স্কুলের সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকাবৃন্দ এবং স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা। খেলাধুলার পাশাপাশি একগুচ্ছ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান তথা কবিতা আবৃত্তি, গানের তালে নৃত্য, দেশাত্মবোধক সংগীত, পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত ও ছাত্র-ছাত্রীদের শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ করা হয়। এছাড়াও খেলাধুলাতেও বিভিন্ন আকর্ষণীয় প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে টার্গেট পয়েন্টের ছাত্রছাত্রীরা।

কিশলয় বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া ও জাঁক জমক সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান

2025-01-20

এম নাজমুস সাহাদাত, মোথাবাড়ী : মালদার মোথাবাড়ী কেশরপুর কদমতলা এলাকায় একটি সুপ্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কিশলয় বিদ্যালয়। এই কিশলয় বিদ্যালয়ের উদ্যোগে নিজ স্কুল প্রাঙ্গনে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। এদিনের প্রথমদিন ক্রীড়া অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের সমস্ত ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন খেলায় অংশগ্রহণ করে। প্রতিযোগি শিশুদের জন্যে আকর্ষণীয় খেলা গুলি চামচ দৌড়, আলু দৌড়, কাক উড়ে-ঘর উড়ে, বিস্কুট দৌড় ছাড়াও বড়ো ছাত্রছাত্রীদের ১০০ মিটার দৌড়, শার্ট গেঞ্জি দৌড় (ছেলেদের), অঙ্ক কষা দৌড়, স্কিপিং ও মিউজিক্যাল চেয়ার (মেয়েদের) এছাড়াও বিশেষ আকর্ষণীয় খেলায় মুগ্ধ হয় ছাত্রছাত্রীরা। এদিনের ক্রীড়া অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ মাদ্রাসা শিক্ষা পর্ষদের সদস্য তথা মোহাম্মাদীয়া হাই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক জাকির হোসেন, কালিয়াচক বনি চাইল্ড মিশন এর ডিরেক্টর সামিম জাভেদ আলী। এছাড়াও কিশলয় বিদ্যালয়ের পক্ষে সম্পাদক গোলাম ইয়াসদানী ও প্রধান শিক্ষক গোলাম রাব্বানী সহ বিদ্যালয়ের সমস্ত শিক্ষক শিক্ষিকা এবং অভিভাবকরা। রবিবার কিশলয় বিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে যেসমস্ত প্রতিযোগি ছাত্রছাত্রীরা প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে তাদেরকে উপস্থিত অতিথিদের। মাধ্যমে পুরস্কৃত করা হয়। অত্যন্ত সুশৃঙ্খল ও জাতীয় সংগীত এর মধ্য দিয়ে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করা। লেখাপড়ার পাশাপাশি খেলাধুলারও প্রয়োজনীয়তা আছে। এখনকার সময়ে মোবাইল গেম ও ভিডিও দেখার নেশা থেকে দূর করতে এবং শারিরীক সুস্থতার উদ্দেশ্যে শিশুদের মাঠমুখী করা আবশ্যিক ক্রীড়া চর্চার প্রয়োজন। এছাড়াও দ্বিতীয় দিনের আকর্ষণীয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, প্রাক্তন চেয়ারম্যান পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন (উত্তরাঞ্চল), প্রাক্তন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সামসি কলেজ এবং বর্তমানে দক্ষিণ দিনাজপুর দেওয়ান আব্দুল গণি কলেজের অধ্যক্ষ ড. আব্দুল অহাব, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইসমাইল, কালিয়াচক হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাঈম আসগার, বিশিষ্ট শিক্ষক ও সমাজসেবী তথা যুব কাফেলার সম্পাদক যুবরাজ ত্রিবেদী, আল আযহার ইসলামিক ও জান্নাতুল আযহার ইসলামিক মিশনের প্রতিষ্ঠাতা ও সম্পাদক আবু তাহের সহ স্থানীয় বহু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। এদিনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীদের কবিতা আবৃত্তি, গজল, নাতে রাসুল, সুরা পাঠ, দেশাত্মবোধক সঙ্গীত, ক্যুইজ প্রতিযোগিতা সহ শিক্ষনীয় নাটকের মাধ্যমে অনুষ্ঠান পর্ব চলে। এছাড়াও অতিথিদের তাৎক্ষণিক বক্তব্য এবং তাদের হাত দিয়ে কৃতি ছাত্রছাত্রীদের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।

শিক্ষা এমন এক অস্ত্র যার দ্বারা পৃথিবীকে বদলে ফেলা যায়

2024-12-17

এম নাজমুস সাহাদাত, কালিয়াচক: শিক্ষা এমন এক অস্ত্র যার দ্বারা পৃথিবীকে বদলে ফেলা যায়। শিক্ষার মাধ্যমেই সমাজ ও দেশের কল্যাণ করা যায়। তবে দিনের পর দিন শুধুমাত্র আধুনিকতার শিক্ষা অর্জনের দোহাই দিয়ে ঘুষ-দূর্নীতি সহ কেলেঙ্কারিতে বিনষ্ট হচ্ছে মানবিকতার এবং দেশের কল্যাণে কাজ করার মন মানসিকতা। আর এইসব থেকে দূর করতে পারে একমাত্র ধর্মীয় শিক্ষা। তাই কালিয়াচকের মাটিতে শুধুমাত্র মিশনের ভিড় নয়, এখানে ছাত্রছাত্রীদের পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি ধর্মের শিক্ষা ও পিছিয়ে পড়া সমাজের এবং দেশকে আরও এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার দূরান্ত চিন্তাভাবনার শিক্ষা দিয়ে চলেছে। আগামীতে আরও শিক্ষার সৎ পথ প্রদর্শনের মাধ্যমে কালিয়াচকের সাথে গোটা দেশের সুনাম অর্জন করতে প্রস্তুত। দ্বিনি ও দুনিয়াবী একটি আদর্শ আধুনিক, ইসলামিক ও ক্বুরআন হিফয এর নির্ভরযোগ্য এবং সম্পূর্ণ ইসলামিক ভাবাদর্শে শিশু শিক্ষার সেরা প্রতিষ্ঠান জান্নাতুল আযহার ইসলামিক মিশনের শুভ উদ্বোধনের মাধ্যমে পথচলা শুরু করল। এই জান্নাতুল আযহার মিশন ইসলামিক ও জেনারেল শিক্ষায় এক অনন্য নিদর্শন। এটি কালিয়াচকের সাহাবাজপুর ছারকাটোলার একেবারে সড়কের ধারেই অবস্থিত এবং এখানে নার্সারি থেকে চতুর্থ শ্রেণী ও হিফয বিভাগ পর্যন্ত পড়াশোনা করানো হয়। এদিনের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, গোলাপগঞ্জ জি.বি.এস হাই মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক তথা শিক্ষারত্ন সাকিলুর রাহমান, অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আমিনুল ইসলাম, কালিয়াচক হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাঈম আসগার, শিক্ষাপ্রেমী জাকির হোসেন বিশ্বাস সহ স্থানীয় বহু বিশিষ্টজনেরা। প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক আবু তাহের জানান, শিক্ষার্থীরা আজকাল যে শিক্ষার পিছনে ছুটে চলেছে তা হল পুঁথিগত বিদ্যা। কিন্তু পুঁথিগত বিদ্যার সার্টিফিকেট আদৌ কি প্রকৃত মানুষ গড়ে তুলছে? অনেক অভিভাবকদের ধারণা তাদের সন্তানরা শুধুমাত্র নামকরা ফলাফল পেলেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারবে। নীতিবিবর্জিত বিদ্যা অর্জন প্রকৃত শিক্ষা নয়। আরও লক্ষ করা যায়, যেসব পাঠ্যপুস্তক থেকে ছাত্রছাত্রীরা যে জ্ঞান অর্জন করছে তা শুধুমাত্র সার্টিফিকেট নিয়ে ভালো একটা চাকুরি ও পেশায় নিযুক্ত হওয়ার আশায়। কিন্তু আদর্শ শিক্ষার উদ্দেশ্য তা নয়; উপলব্ধি করা জ্ঞান বিদ্যা নিজের মধ্যে প্রয়োগ করার নামই হচ্ছে প্রকৃত অর্থে শিক্ষা। নিজেকে জানা ও নিজের মধ্যে আদর্শ মূল্যবোধ তৈরি করা এবং তা সমাজে প্রসারিত করা। তাই এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিশুদের ভিত্তি স্থাপন মজবুত করছি, যাতে সহজে ভেঙে না যায়। এছাড়া নৈতিক শিক্ষা, সামাজিক শিক্ষা, পারিবারিক শিক্ষা, কর্মমুখী শিক্ষার ওপর জোর দেওয়া হয়।

এক মনোজ্ঞ অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে পথচলা শুরু করল কদমতলা ব্রাইট ফিউচার অ্যাকাডেমি

2024-12-15

এম নাজমুস সাহাদাত, কদমতলা: কালিয়াচকের চতুর্দিকে শিক্ষার জোয়ার। প্রতিটা গ্রামে গ্রামে শিক্ষার আলো জ্বালিয়ে চলেছে এই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলি। তার সাথে সাথে শিক্ষিত বেকার যুবক যুবতীরা ছোট ছোট শিশুদের প্রাথমিক শিক্ষা দিয়ে উচ্চমানের জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করতে আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছেন। এদিন কদমতলা এলাকা কালিয়াচকের একদম শেষপ্রান্ত বলা যেতে পারে। রবিবার কদমতলা এম.এস.কে স্কুলের পার্শ্বে একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান কদমতলা ব্রাইট ফিউচার অ্যাকাডেমির পথচলা শুরু করল। এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও একগুচ্ছ অতিথিদের উপস্থিতিতে স্কুলের প্রবেশদ্বারের ফিতে কেটে এবং ভারতের জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে শুভ উদ্বোধন করা হয়। কদমতলা ব্রাইট ফিউচার অ্যাকাডেমির উদ্বোধন করেন শিলচর বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম। এছাড়াও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জিবিএস হাই মাদ্রাসার সহকারী প্রধান শিক্ষক মোমতাজ হোসেন, রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত আরপিএফ মকবুল হোসেন, কদমতলা এমএসকের প্রধান শিক্ষক সুদেব মন্ডল, কদমতলা ম্যানেজ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রনব কুমার দাস ও সহকারী শিক্ষক সুমিত দাস সহ আরও অনেকে। ব্রাইট ফিউচার অ্যাকাডেমির সম্পাদক ফেরাজুল সেখ, প্রধান শিক্ষক মুকলেসুর রাহমান, ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক রাজু মোমিন, সভাপতি আব্দুল ওয়াদুত আলি, উপদেষ্টা অজিত ঘোষ সহ অন্যান্য শিক্ষক শিক্ষিকারা। এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে স্কুলের ছাত্রছাত্রীদের কবিতা আবৃত্তি, বিভিন্ন গানের সুরে নৃত্য পরিবেশন, অতিথিদের বরণ ও ভাষণের মাধ্যমে অনুষ্ঠান চলে। এটি নার্সারি থেকে শ্রেণী পর্যন্ত একটি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। স্কুলের পরিচালকগণ জানান, আমাদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি সবুজায়ন প্রকৃতির সৌন্দর্যে এক মনোরম সুস্বাস্থ্যকর পরিবেশে এবং খেলাধুলার জন্য মুক্ত মাঠ দ্বারা পরিবেষ্টিত। এছাড়াও আমাদের এখানে ইংরেজি ও অংক বিষয়ের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হবে, ইংরেজিতে কথা বলার ক্লাস করানো হবে, অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকা দ্বারা পঠনপাঠন, সুসজ্জিত খেলার মাঠ, দূরবর্তী ছাত্রছাত্রীদের জন্যে গাড়ির সুবিধা, অল্প খরচে উন্নতমানের শিক্ষাদানের ও স্কুলের চারিদিকে নজর রাখতে সিসিটিভির ব্যবস্থা রয়েছে। আমাদের এই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য হল শিক্ষার মানোন্নয়ন ও শিশুদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তোলা। আধুনিক শিক্ষার সঙ্গে নৈতিক মূল্যবোধের সমন্বয়ে একটি সুনির্দিষ্ট শিক্ষাগত পরিবেশ প্রদান করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আশা করি, আমাদের এই উদ্যোগ কদমতলা ও আশেপাশের এলাকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য এক নতুন দিশা দেখাবে। এই সমাজ ও দেশ শিক্ষার আলোতে এগিয়ে যাক এটাই আমরা তৈরী করতে চাই।

আধুনিক ও ইসলামিক শিক্ষার বিপ্লব ঘটিয়েছে কালিয়াচকের কচিকাঁচা ইসলামিক কিন্ডারগার্টেন

2024-11-18

নাজমুস সাহাদাত, কালিয়াচক: আধুনিক সভ্যতার প্রতিযোগিতামূলক স্তরে আধুনিকতম যুগোপযোগী ও তার পাশাপাশি ইসলামিক শিক্ষার অত্যন্ত প্রয়োজন। আধুনিক ও ইসলামিক শিক্ষার বিপ্লব ও উন্নয়নকে পাথেয় করে, ছোট্ট চারাগাছকে বিশাল মহীরুহে পরিণত করার আশা ও সুদৃঢ় পদক্ষেপ নিয়ে শুরু হয়েছিল কালিয়াচকের শেরশাহী দক্ষিণ লক্ষীপুরে কচিকাচা ইসলামিক কিন্ডারগার্টেন। বহু সমস্যা ও অর্থনৈতিক টানাপোড়েনের মধ্য দিয়েও শিক্ষার আলো ছড়াতে পিছপা বা দিশেহারা হয়নি। প্রতিষ্ঠার দশটা বছর অতিক্রম করে চিন্তাশীলতা ও মননশীলতাকে কাজে লাগিয়ে একের পর এক ঐতিহাসিক ঘটনার বিরল সাক্ষী এই কচিকাচা ইসলামিক কিন্ডারগার্টেন। প্রকৃত শিক্ষার দ্বারা মানুষজাতী তার আদিম স্বভাবের অজ্ঞতা মূর্খতাকে পরাস্ত করে পূর্ণাঙ্গ মানুষ রূপে ধীরে ধীরে গড়ে উঠতে সক্ষম। তবে যুগের পর যুগ মানুষ তার জ্ঞানের শিখায় কোটি কোটি মানুষের অন্তরে জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়েছে। দেখা যাচ্ছে সর্বস্তরের অভিভাবকরা তার সন্তান-সন্ততিদের সামগ্রিক বিকাশ সাধনকে উন্নতি করার লক্ষ্যে অন্যান্য নজির সৃষ্টি করতে এবং ভবিষ্যৎ ক্ষতির মুখ থেকে প্রতিটি শৈশবকে রক্ষা করতে এই ইসলামিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের দিকে এগিয়ে আসছে। তার সাথে সাথে আগাছা দমন করে প্রতিটি শিশুকে বাগানের মালির ন্যায় লালন পালন করে গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর 'কচিকাচা ইসলামিক কিন্ডারগার্টেন' স্কুল। এই স্কুলটি নার্সারি থেকে পঞ্চম শ্রেণীর একটি বাংলা মাধ্যম আবাসিক ও অনাবাসিক শিশু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা বিভিন্ন স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানে মেধা প্রবেশিকা পরিক্ষায় কৃতি হিসেবে পুরস্কৃত। বিজ্ঞানমঞ্চ মেধা পরিক্ষায়, জানা-অজানা মেধা পরিক্ষায়, আল আমীন মিশন, কালিয়াচক ট্যালেন্ট সার্চ সহ জেলা ও রাজ্যে স্থানাধীকারী হয়েছে। এই কচিকাচা ইসলামিক কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পঠনপাঠনে বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি ও প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার জন্য পাঠ দান, পাঠ পরিকল্পনা ভিত্তিক পাঠদান ও পাঠ্যানুশীল, স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি যুক্ত খাদ্য ও আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জলের সরবরাহ, সকল ছাত্রছাত্রীদের জন্য বিষয় ভিত্তিক বিভিন্ন স্বনামধন্য ও অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শিক্ষক শিক্ষিকাদের মাধ্যমে প্রতিদিন কোচিং-এর ব্যবস্থা, ক্লাস টেস্ট ও ইউনিট টেস্ট এবং টার্মিনাল টেস্টের এবং শিক্ষার্থীদের ভালো ফলাফল ও আরও বেশি বিষয় ভিত্তিক জ্ঞানার্জনের জন্য সৃজনশীল পদ্ধতিতে গ্রুপ ওয়ার্ক, স্পট টেস্ট, ক্লাস ইউনিট টেস্ট, সারপ্রাইজ টেস্ট, মাসিক টেস্ট, টিউটোরিয়াল পরিক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিশেষ ভাবে প্রস্তুতি গ্রহণের ব্যবস্থা। এছাড়াও দৈহিক ও মানসিক দিক থেকে সময় রাখতে নিয়মিত খেলাধুলা এবং শরীরচর্চা ও বিদ্যুতের পরিবর্তে শক্তি যোগানের জন্যে জেনারেটরের সুব্যবস্থা এবং আবাসিক ছাত্রছাত্রীদের জন্যে পৃথক পৃথক আবাসন করা হয়েছে। এদিন রবিবার এই কচিকাচা ইসলামিক কিন্ডারগার্টেনের ভর্তি মেধা প্রবেশিকা পরিক্ষা নেওয়া হয় এবং এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে স্কুলের পক্ষ থেকে শিক্ষারত্ন প্রাপ্তি শিক্ষিকা তানিয়া রহমত, অবসরপ্রাপ্ত বিশিষ্ট শিক্ষক আমিনুল ইসলাম, চিকিৎসক হাজেরুল ইবকার ও শিক্ষানুরাগী আব্দুর রশিদকে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়। এছাড়াও ছিলেন, কচিকাচা ইসলামিক কিন্ডারগার্টেনের সম্পাদক আনিকুল ইসলাম ও প্রধান শিক্ষক নাজমুল হক সহ স্কুলের অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকারা।

কালিয়াচকের সাহাবাজপুর মাস্টারপাড়ায় গড়ে উঠেছে বিকাশ মিশন

2024-11-12

নাজমুস সাহাদাত, কালিয়াচক: মালদা জেলার শিক্ষার হাব কালিয়াচক। এই কালিয়াচকে বহু উন্নতমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভিড়ে আরো এক মনুষ্য জাতির মূল মন্ত্রে শিক্ষার্থীদের দীক্ষিত করতে এবং বর্তমান বিশৃংখল সমাজে সঠিক পথ দেখাতে কালিয়াচকের সাহাবাজপুর মাস্টারপাড়ায় গড়ে উঠেছে বিকাশ মিশন। এই বিকাশ মিশন এক দশক পেরিয়ে এক শিক্ষার জলন্ত প্রদীপ হিসেবে নিজেদের প্রচেষ্টাতে কোনরুপ শৈথিল্য করেনি তার প্রমাণ বিগত বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে রাজ্যে দশম স্থান অধিকার ধ্রুবজ্যোতি মন্ডলের (২০২৪) ও ফাইজ মাসুদের (২০২২)। এছাড়াও তামান্না নুরজাহান (২০২৩) মাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বর ৬৭৪, শিরিন পারভীন (২০২০) সালের মাধ্যমিকে প্রাপ্ত ৬৭৯ নম্বর। এই বিকাশ মিশনের বিশেষত্ব অর্থাৎ ছাত্র-ছাত্রীদের যেভাবে পঠন-পাঠন দেওয়া হয়। ছাত্র-ছাত্রীদের পুঁথিগত শিক্ষাদানের পাশাপাশি নৈতিক ও যুগোপযোগী শিক্ষাদান, জাতি ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে সমাজের সকল শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের সম্পূর্ণ মেধার ভিত্তিতে পড়াশোনার ব্যবস্থা, দুস্থ ও মেধাবী ছাত্র ছাত্রীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা, প্রতিটি শিক্ষাবর্ষে তিনটি পার্বিক দুটি ডেভেলপমেন্ট টেস্ট ও সাপ্তাহিক টেস্ট এবং সারপ্রাইজ টেস্টের ব্যবস্থা, প্রতিটি পার্বিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে দুর্বল ছাত্র-ছাত্রীদের বাছাই করে তাদের মেধার ভিত্তিতে রবিবার করে রেমিডিয়াল ক্লাসের ব্যবস্থা, দশম শ্রেণীর ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য অতিরিক্ত চারটি পরীক্ষা স্পেশাল এভালুয়েশন, সাইন্স এভালুয়েশন, শর্ট ইনহান্সমেন্ট, স্টার এলিজিবিলিটি টেস্ট নেওয়া হয়। এছাড়াও রয়েছে সম্পূর্ণ নতুনরূপে পূর্ণাঙ্গ স্মার্ট ক্লাসরুমের ব্যবস্থা, পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের পাঠ্যক্রম অনুযায়ী শিক্ষাদান, ক্রিকেট, ফুটবল, ব্যাডমিন্টন, ভলিবল প্রভৃতি খেলাধুলা ও শরীরচর্চার জন্য নিজস্ব মিশনের খেলার মাঠ রয়েছে। প্রতিযোগিতা মুখী সাপ্তাহিক মিসলেনিয়াস ক্লাস, মানসিক বৃদ্ধি ও সাধারণ জ্ঞান অর্জনের জন্য একবার শিক্ষামূলক ভ্রমণ, মিশনের ছাত্র-ছাত্রীদের পৃথক আবাস, অনাবাসিক ছাত্র-ছাত্রীদের যাতায়াতের জন্য গাড়ি, প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা, সম্ভাবনাময় ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি বিশেষ যত্ন ও ২৪ ঘন্টা সিসিটিভি ক্যামেরার নজরদারিতে ছাত্রীদের রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। এবং বিশেষ করে ছাত্রীদের মানসিক দিক-দৃঢ় অপূর্ণতা অর্জনের জন্য প্রতিটি পালনীয় সসম্মানে উৎসবের আমাজে পালন করা হয়। প্রতিবছর বিকাশ দর্পণ নামে ম্যাগাজিন যেখানে ছাত্র-ছাত্রী ও শিক্ষক শিক্ষিকাদের বাংলা ও ইংরেজি কবিতা, গল্প ও সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎকার ছাপানো হয়। বিকাশ মিশনের প্রধান শিক্ষক মোহাম্মদ জুলফিকার আলী, সম্পাদক আতিকুর রহমান, সভাপতি সাফিউর রহমান আনসারি, পরিচালক সাদেক আলী, সহ প্রধান শিক্ষক রাইসুদ্দিন আহমেদ, সদস্য মোঃ হাফিজুদ্দিন, আসাদুল হক ও মুকাদ্দার সেখ সহ সকল শিক্ষক শিক্ষিকাদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ও সকলের সহযোগিতায় এই বিকাশ মিশনের সফলতা। মিশনের প্রধান শিক্ষক জুলফিকার আলী বলেন, আমরা ২০১২ সালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তির কাজ ও অনেক গুণীজনদের সাহায্য সহযোগিতায় কিছু সংখ্যক ছাত্রছাত্রীদের নিয়ে শুরু হয় পঠন পাঠন। শুরু হয় কর্তৃপক্ষের প্রতিটি সদস্যদের রাতদিন অক্লান্ত পরিশ্রম। তবে আজ ২০২৪ শে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছে আমাদের এই সেই পরিশ্রম বিফলে যায়নি। আমাদের ছাত্র-ছাত্রীরা প্রতি বছর সফলতার শিখরে পৌঁছাচ্ছে। মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় বোর্ডে এক থেকে দশের মধ্যে বেশ কয়েকবার দখল করেছে। আমাদের এই মিশন থেকে পড়াশোনা করে যাওয়া অনেক ছাত্র-ছাত্রী এখন ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার। খুব ভালো লাগে এবং মনটা আনন্দে ভরে ওঠে যখন আমাদের ছাত্র-ছাত্রীদের এইসব সফলতার খবর শুনি। তবে এই সফলতা কারও একার পরিশ্রমে গড়ে ওঠেনি। এর পেছনে রয়েছে কর্তৃপক্ষ শুরু করে শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষাকর্মী এবং বিভিন্নভাবে মিশনের কাজের সঙ্গে জড়িত এখন মানুষের পরিশ্রম ও ভালোবাসা। আজ যেমন বিকাশ মিশনের পরিচিতি দূর দূরান্তে ছড়িয়ে পড়েছে। মালদা তথা উত্তরবঙ্গ ও মধ্য বঙ্গে এই মিশনের সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে এবং আমাদের বিশ্বাস আগামী দিনে বিকাশ মিশনের সুনাম পশ্চিমবঙ্গের জেলায় জেলায় ছড়িয়ে পড়বে।

মালদা জেলার কয়েকটি নামজাদা বেসরকারি স্কুলের মধ্যে,কালিয়াচকের টার্গেট পয়েন্ট (আর) স্কুল অন্যতম।

2024-11-06

মালদা জেলার কয়েকটি নামজাদা বেসরকারি স্কুলের মধ্যে,কালিয়াচকের টার্গেট পয়েন্ট (আর) স্কুল অন্যতম। প্রতি বছরের ন্যায় এই বছরও এ্যাডমিশন টেস্ট শুরু হয়েছে।রাজ্যোর বিভিন্ন জেলার সঙ্গে সঙ্গে স্কুলের মেইন ক্যাম্পাসে এ্যাডমিশন টেস্ট নেওয়ার কাজ শুরু হয়েছে। প্রধান শিক্ষক উজির হোসেনের কথায় প্রায় ১৫০০ ছাত্র- ছাত্রী এ্যাডমিশন টেস্ট দিয়েছে।

কালিয়াচক আবাসিক মিশনে হয়ে গেল মেধা যাচাই ভর্তি প্রবেশিকা পরিক্ষা

2024-11-06

নাজমুস সাহাদাত, কালিয়াচক: গোটা মালদা জেলা জুড়ে শিক্ষার বিপ্লব ঘটিয়েছে কালিয়াচকের বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। উচ্চমানের শিক্ষার প্রগতি ও সাফল্যের শিখা জ্বালিয়েছে কালিয়াচকের বেশকিছু বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। তারই মধ্যে শিক্ষার বুনিয়াদ গড়তে কালিয়াচক আবাসিক মিশন ১৮ বছর ধরে শিক্ষাদানে নিয়োজিত। কালিয়াচক আবাসিক মিশনে শুধু প্রথাগত শিক্ষা নয়, যে শিক্ষায় চরিত্র গঠন ও মনের শক্তি বৃদ্ধি হয় এবং বুদ্ধির বিকাশ ছাড়াও নৈতিক মূল্যবোধের শিক্ষা দেওয়া হয়। একজন সুশিক্ষিত ছাত্রই একদিন আদর্শ মানুষ রূপে তৈরি হবে। এদিন কালিয়াচক আবাসিক মিশনে হয়ে গেল মেধা যাচাই প্রবেশিকা পরীক্ষা। কালিয়াচকের শত শত বেসরকারি স্কুল মিশনের ভিড়ে ২০০৫ সালে গড়ে ওঠা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীদের সাফল্যে সুনাম ছড়িয়েছে রাজ্য জুড়ে। প্রতিবছর মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং ডাক্তারি পড়ার সর্বভারতীয় নিট-এও নজর কাড়া ফলাফল করে চলেছে এই আবাসিক মিশনের ছাত্র-ছাত্রীরা। এদিন মঙ্গলবার নিজস্ব বিদ্যালয় ভবনে হয়ে গেল মেধা যাচাই প্রবেশিকা পরীক্ষা। এদিনের ভর্তি প্রবেশিকা পরিক্ষায় পঞ্চম এবং ষষ্ঠ শ্রেণির প্রায় এক হাজার ছাত্রছাত্রীরা এই পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। এবং আগামীকাল সপ্তম, অষ্টম ও নবম শ্রেণির কয়েক হাজার ছাত্রছাত্রীদের ভর্তি মেধা যাচাই প্রবেশিকা পরীক্ষা নেওয়া হবে। কালিয়াচক আবাসিক মিশনের আমিরুল ইসলাম জানান, "কালিয়াচক আবাসিক মিশন" জাতি- ধর্ম- নির্বিশেষে একটি উন্নতমানের প্রকৃত মানুষ গড়ার কারখানা। গত বছর ২০ জনের মত স্টুডেন্ট ডাক্তারী তে চান্স পায়। পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সব জেলার ছাত্র-ছাত্রীরা এখানে পড়াশোনা করে। আমাদের এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিজ্ঞ এবং প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকা দ্বারা পঠন পাঠনের সুব্যবস্থা, আধুনিক যথোপযুক্ত যন্ত্রপাতি দ্বারা সুসজ্জিত এক মনোরম পরিবেশের ব্যবস্থা রয়েছে। এছাড়া আমাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বিভিন্ন বিষয়ের উপর দক্ষতার সাথে পড়াশোনা যা জীবনে সামাজিক, অর্থনৈতিক, সাহিত্যিক, বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক সহ গবেষণামূলক তৈরি হওয়ার শিক্ষাদান দেওয়া হয়। তার পাশাপাশি সাংস্কৃতিক চর্চাও ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে খেলাধুলা, তথা শারীরিক শিক্ষা, কুইজ প্রতিযোগিতা, বক্তব্য, আবৃতি, চিত্রাঙ্কন, শিক্ষনীয় নাটক ছাড়াও বিভিন্ন সাংস্কৃতিক বিষয়গুলোর উপর বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। আমাদের মূল লক্ষ্যই হল ছাত্র-ছাত্রীদের নৈতিক জ্ঞান গুণসম্পন্ন একজন সুদক্ষ মানবিক ও আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা। যা সফলতার পর মানুষের ও দেশের কল্যাণে কাজ করবে। এই কালিচক আবাসিক মিশন থেকে, বহু ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার সহ একাধিক উচ্চশিক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।


Releted News


Ads






Follow us on                  

About Us
Kaliachak Sangbad, a pioneering digital platform, is revolutionizing the way citizens access news, information, and services.
Contact Us
Address : Kaliachak, Malda
Call : +91 7001942597
WhatsApp : +91 9749218411
Email : kaliachaksangbad@gmail.com

Total Visitor : 100723